শত বছরের ব্রীজ নিমার্ণে দুই উপজেলার লাখো মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে। ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন ও দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন এর শেষ সীমানায় বুড়ি তিস্তা নদীর উপর ব্রীজ নিমিত হয়েছিল লোহার পাটাতন দ্বারা। শত বছর আগে সেই ব্রীজ ১৯৬৯ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়, পরবর্তীতে আবার ১৯৭১ সালে পাকসেনারা সেই ব্রীজটি ক্ষতি গ্রস্থ করে দেয়।
পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ব্রীজটি মেরামত করে মানুষজন ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়। ব্রীজটি নির্মিত হওয়ায় দুই উপজেলার মধ্যে একটি সংযোগ সড়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই ব্রীজ নির্মিত হওয়ার ফলে পঞ্চগড় থেকে রংপুর যেতে ৫০ কিঃমিঃ দুরুত্ব কমে গেল। সরাসরি পঞ্চগড় থেকে চিলাহাটি, ডিমলা হয়ে হাতিবান্ধা হয়ে লালমনিরহাট যাওয়ার রাস্তা খুলে গেল। এই রাস্তায় প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে।
এখন থেকে দেবীগঞ্জ, বোদা, পঞ্চগড়, তেঁতুিলয়া, আটোয়ারীর উপজেলার মানুষের সৈয়পুর হয়ে রংপুর যেতে হবে না। সোজা ভাউলাগঞ্জ চিলাহাটি হয়ে জলঢাকা দিয়ে রংপুর যেতে পারবে। পঞ্চগড় থেকে রংপুর যেতে এই রাস্তায় সময় লাগবে এখন থেকে ২ ঘন্টা রাস্তার দুরুত্ব হবে ১২৫ কিঃমিঃ লালমনিরহাট দুরুত্ব হবে ১৩০ কিঃমিঃ এর মতো, সময় লাগবে মাত্র ৩ ঘন্টা।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিনে এই ব্রীজটি দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার, দুই দিকে এ্যাপরোচ রোড ৩২০ মিটার এই ব্রীজটি নির্মান করতে ব্যায় হয়েছে ৮ কোটি ২০ লাক্ষ টাকা। ব্রীজটি ১০০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ব্রীজটি মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।