পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ হাসিনুর রহমানের বিরুদ্ধে।
৩৮ লাখ টাকার টেন্ডারে সিডিউল দাখিলের শেষ সময় ছিল মঙ্গলবার। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সিডিউল বিক্রির শেষ সময় ছিল। মোট ৫৭ টি সিডিউল বিক্রি হলেও মঙ্গলবার টেন্ডার ড্রপের দিন মাত্র ৩৬ টি সিডিউল ড্রপ করা হয়। সকাল ৯ টায় টেন্ডার ড্রপের সময় থাকলেও তার আগেই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ হাসিনুর রহমানের যোগসাজশে সবার অগোচরে ৬ টি সিডিউল ড্রপ করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ৬ টি সিডিউল সরিয়ে ফেলে পুনরায় টেন্ডার ড্রপের জন্য বাক্স সিলগালা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার জানান, তারা সিডিউল ক্রয় করলেও টেন্ডার ড্রপ করতে পারেনি। এছাড়াও কয়েকজন ঠিকাদারের সঙ্গে সমঝোতা করারও অভিযোগ রয়েছে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাতে বসেছে। অধিক সংখ্যক ঠিকাদার টেন্ডার ড্রপ করতে পারলে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে সর্বনিন্ম দরদাতাকে কাজটি প্রদান করা যেত। টেন্ডার ড্রপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় এ কাজের নির্ধারিত ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যয় হওয়ার আশংকা রয়েছে।
হাসিনুর রহমান জানান, কিভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাক্স সিলগালা করার পূর্বে টেন্ডার ড্রপ করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি অবগত নই। টেন্ডার ড্রপের বাক্স তদারকির দায়িত্বে একাউন্টেন্ট ও অন্য আরেকজন স্টাফ ছিলেন। আমি ইতিমধ্যে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।
সিভিল সার্জন ফজলুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এই ব্যাপারে সেখানাকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ওনার কাছে আপনি বক্তব্য নিন।